Ads

আচ্ছা আমাকে কি কেউ একটা প্রশ্নের উত্তর দিবেন? ইমাম মাহদিতো ৪০ বৎসর বয়সে প্রকাশিত হবেন। তো এই ৪০ বৎসর কি তিনি ইমাম মাহদি থাকবেন না? নাকি হঠাৎ করেই একজনকে ধরে এনে আল্লাহ ইমাম মাহদি বানিয়ে দিবেন? না তেমনটা নয়, নবীজি ﷺ এর নূরানী জবানে ইমাম মাহদির নাম, পিতা-মাতার নাম, বংশ, গুনাবলি সবকিছুই এরশাদ করে গেছেন। উনি নির্দিষ্ট একজন ব্যক্তি যিনি ইমাম মাহদি হয়েই জন্মাবেন, কিন্তু উনার অভিষেক হবে ৪০ বৎসর বয়সে, যখন থেকে উনি উনার জন্য নির্ধারিত দায়িত্ব পালন শুরু করবেন। তাহলে আমাকে বলেন, একজন উম্মতের যদি এই মর্যাদা হয় যিনি জন্মের সময়ই ইমাম মাহদি, তার বংশ, পিতা-মাতা, গুনাবলি সবই উনার জন্যই নির্দিষ্ট, তাহলে সেই নবীর শান ও মর্যাদা কেমন হবে যার উপর ঈমান আনার ওয়াদা আল্লাহ সব নবি থেকে নিয়ে নিয়েছেন তাদেরকে দুনিয়াতে পাঠানোর পূর্বেই, আদম (আ:) যার পবিত্র নাম আরশের পায়ায় দেখতে পেয়েছেন, ইব্রাহিম (আ:) তিনার বংশধর হিসেবে যে নবীকে চেয়েছেন, ঈসা (আ:) যার পবিত্র নাম উম্মতকে জানিয়ে গেছেন, যার আগমনের সময়ে মা আমেনা অসংখ্য মুজেজার সাক্ষী হয়েছেন, ৪ বছর বয়সে যার সিনা চাক হতে দেখে দুধ মা হালিমা পেরেশান হয়ে গেছেন, ১২ বৎসর বয়সে সিরিয়ায় গমনের সময় বুহায়রা পাদ্রী যাকে চিনে ফেলেছেন, আর তিনিই নাকি ৪০ বৎসর পর্যন্ত নবীই ছিলেন না! এটা কেমন কথা? প্রথমে ইমাম মাহদির উদাহরনটা এজন্য দিলাম যে, কখন নবী হয়েছেন, আর দুনিয়াতে কখন নবী হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছেন সেই প্রার্থক্যটা বুঝানোর জন্য। আহলে সুন্নাতের স্বতঃসিদ্ধ আক্বিদা আদম (আ:) এর সৃষ্টির পূর্বেই প্রিয় নবীজি ﷺ নবি ছিলেন (তিরমিজি,হা: ৩৬০৯) আসলে যাদের অন্তরে প্রিয় নবীজি ﷺ এর প্রতি বিন্দু পরিমান আদব আছে তারা মুখে যা আসে তাই বলতে পারে না। যে যত বড় আলেম বা স্কলারই হোক না কেন আমার প্রিয় নবীজি ﷺ এর শানে আঘাত হানলে যদি নবী ﷺ এর আদবের চেয়ে তার ভালোবাসা আপনার কাছে প্রাধান্য পায় বুঝতে হবে আপনার অন্তরে নেফাক আছে। ভুল যেহেতু মানুষেরই হয়, তওবাকারীকেও আল্লাহ পছন্দ করেন। তওবা করলেতো তাদের জন্যই মংগল। তবে রাসুলুল্লাহ ﷺ এর শানে বেয়াদবি করলে আল্লাহ তওবাও তাদের নসিব থেকে ছিনিয়ে নেন, সুরা হুজরাতের ২নং আয়াত তার প্রমান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ