Ads

ডুবন্ত সূর্যকে পুনরায় উদিত হয়েছে।

খায়বা
রের কাছাকাছি কোনো এক স্থান— সালাতুল আসর আদায় করে নবিজি ﷺ মাওলা মর্তুযা রা:-র কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে যান। এমতাবস্থায় নবিজি ﷺ-র প্রতি অহি নাযিল হতে থাকে। মাওলা মর্তুযা রা: তাই বিঘ্ন সৃষ্টি না করে বসে থাকেন। এদিকে সূর্যাস্ত হয়ে যায়। নবিজি ﷺ দেখেন মাওলা মর্তুযা রা:-র আসরের নামায কাযা হয়েছে। নবিজি ﷺ তখন সূর্যের সৃষ্টিকর্তার কাছে দুআ করেন,“হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আলি রা: আপনার ও আপনার রসুলের আনুগত্যে নিমগ্ন ছিল। আপনি রহমতস্বরূপ সূর্যকে পুনরাগমন করুন, যেন আলি রা: আসর নামায আদায় করতে পারে।” সায়্যিদাহ আসমা বিনতে উমাইস রা:— সায়্যিদুনা জাফর ইবনে আবু তালিব রা:-র স্ত্রী বলেন,“আমি স্বচক্ষে ডুবন্ত সূর্যকে পুনরায় উদিত হতে দেখেছি। পাহাড়ের চূঁড়া থেকে ভূপৃষ্ঠের চারিদিক অবধি সূর্যালোক ছড়িয়ে যায়।” (ক) অধিকাংশ সিরাত প্রণেতারা তাঁদের গ্রন্থে ঘটনাটি বর্ণনা করেন। শুধু আল্লামা ইবনে জাওযি এ হাদিসের সনদকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন কিন্তু আল্লামা আইনি রহ:, ইমাম আবু জাফর তাহাবি রহ:-সহ বিভিন্ন বিখ্যাত মুহাদ্দিসরা এই হাদিসের সনদ যাচাই করে ও বিশুদ্ধতার পক্ষেই রায় দেয়। তথ্যসূত্র: ক. যুরকানি, ৫ম খণ্ড, ১১৩ পৃষ্ঠা, শিফা শরিফ, ১ম খণ্ড, ১৮৫ পৃষ্ঠা, মাদারেজুন নবুওয়াত, ২য় খণ্ড, ২৫৭ পৃষ্ঠা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ