Ads

উস্তুয়ানায়ে হান্নানা এই রহমতের স্তম্ভটি মেহরাবে নববীর ডান পাশে একেবারেই লাগানো। 'নূরানী মিম্বর' তৈরি হওয়ার পূর্বে রহমতে আলম, হুযুর পুরনূর (ﷺ) খেজুরের একটি কান্ডের সাথে হেলান দিয়ে খোৎবা পেশ করতেন। যখন মিম্বরটি বানানো হলো এবং নবী করীম (ﷺ) এতে তাশরীফ রেখে খোৎবা শুরু করলেন, তখন সেই খেজুরের কান্ডটি প্রিয় নবী, হুযুর পুরনূর (ﷺ) এর বিরহে ফেটে যায় আর চিৎকার করে কান্না করে এবং গর্ভবতী উটের ন্যায় চিৎকার করতে থাকে, এই অবস্থা দেখে উপস্থিত সকলেও কান্না জুড়ে দিলো। প্রিয় আক্বা, হুযুর পুরনূর (ﷺ) মিম্বর থেকে নেমে সেই খেজুরের কান্ডটিতে হাত বুলিয়ে দিয়ে ইরশাদ করলেন: “তুমি যদি চাও, তবে তোমাকে তোমার স্থান ফিরিয়ে দেব, যেমনটি তুমি পূর্বে ছিলে, তুমি যদি চাও, তবে তোমাকে জান্নাতে লাগিয়ে দেব, যেন জান্নাতবাসীরা তোমার ফল খেতে থাকে।" কিছুক্ষণ পর প্রিয় নবী, রাসূলে পাক (ﷺ) সাহাবায়ে কিরামদের (عَلَيْهِمُ الرِّضْوَان) উদ্দেশ্য করে ইরশাদ করলেন: "সে জান্নাতকেই বেছে নিয়েছে।" এই কান্না করার কারণে স্তম্ভটির নাম হয়ে যায় 'হান্নানা'। হযরত সায়্যিদুনা হাসান বসরী (رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ) যখনই এই ঘটনাটি শুনতেন খুবই কান্না করতেন আর বলতেন: হে লোকেরা! প্রাণহীন একটি খেজুরের কান্ড যদি নবীর বিরহে কান্না করতে পারে, তাহলে তোমরা কি কান্না করতে পার না? (ওয়াফাউল ওয়াফা, ১ম খন্ড, ৩৮৮, ৩৮৯, ৩৯০, ৪৩৯ পৃষ্ঠা) ✍🏻Azad Attari

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ