Ads

:: খেলার মাঠ থেকে দাওয়াতে ইসলামিতে আসার গল্প :: সম্ভবত ১৯৮২ বা ১৯৮৩ সালের ঘটনা। আমি যে শহরে জন্মগ্রহণ করি, ‘নওয়াবশাহ।’ সিন্ধের প্রসিদ্ধ শহর। সে শহরে আমিরে আহলে সুন্নতের শুভাগমন ঘটে। সবাই তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করছিল। আমিও উপস্থিত হলাম। আমার বয়স তখন ১৬ কিংবা ১৭। এক ইসলামী ভাই আমার পরিচয় দিলেন –ইনি হচ্ছেন 'শাহিদ।' আমাকে একজন খেলোয়াড় হিসেবে তুলে ধরা হল। বলা হল, ‘সে খেলাধুলার সাথে সম্পৃক্ত।’ আমার অনেক অনুশোচনা হচ্ছিল। আল্লাহর একজন নেককার বান্দার সামনে আমার এই পরিচয় তুলে ধরা হলো যে, আমি একজন খেলোয়াড়। আমি তৎক্ষণাৎ নিয়ত করলাম, আমি খেলাধুলা ছেড়ে দিব, ইনশা আল্লাহ। শুনে তিনি না তিরস্কার করলেন, না বুঝালেন, না আমাকে ভালোমন্দ বললেন। শুধু মুচকি হাসছিলেন। আমিরে আহলে সুন্নত, হযরত আল্লামা মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস আত্তার কাদেরী দামাত বারকাতুহুমের ভালোবাসা ও মুচকি হাসি আলহামদুলিল্লাহ এখনো আমার কল্পনায় আসে। যারা মুবাল্লিগ আছেন, নেকীর দাওয়াত প্রদানকারী। বিশেষ করে মাযহাবী লোক, আর মা-বাবা, শিক্ষক তাদের উচিত –শিশুদের বেত্রাঘাত বা মারধর না করে, কথায় আঘাত না করে বরং ভালোবাসা দিয়ে বোঝানো। তারপর পাঁচ-ছয় মাস পর যখন আমিরে আহলে সুন্নাত শুভাগমন হলো আমাদের নওয়াবসাহ শহরে। আমিরে আহলে সুন্নত আমার নাম ধরে ডাকলেন। আমার অনেক ভালো লাগলো। আর আমি অবাক হলাম যে, এতদিন পর আমার হাজিরি হচ্ছে তার খিদমতে, তিনি আমার নামও ভুলেন নি। আমার নাম ধরে ডাকলেন। জিজ্ঞাসা করলেন, – আপনার খেলাধুলার কি অবস্থা? তখনও আমি খেলাধুলায় সম্পৃক্ত ছিলাম। দ্রুত তো আর অভ্যাস যায় না। আমিরে আহলে সুন্নত তখনও আমাকে গাফেল বলেননি। বরং সহানুভূতি প্রকাশ করলেন। আলহামদুলিল্লাহ, তাঁর সান্নিধ্যে, তাঁর ভালোবাসায় দাওয়াতে ইসলামীর মাদানী পরিবেশেসম্পৃক্ত হয়ে গেলাম। আজও আছি। ~ হাজি শাহিদ আত্তারী ‘দামাত বারাকাতুহুম’, রুকনে শুরা, দাওয়াতে ইসলামি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ